এম এম লিংকন: [৩] এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে ১১৪ জনের আর বৈধ পেয়েছে ৩১৭ জন; চট্টগ্রামে বাতিল ৪৪ ও বৈধ ১৫৪ জনের, কুমিল্লায় বাতিল ১২০ ও বৈধ ২৩৫, সিলেটে বাতিল ৩৫ ও বৈধ ১২৫ জনের, রাজশাহীতে বাতিল ১১০ ও বৈধ হয়েছে ২৫৯ জনের, খুলনায় বাতিল ৯৪ আর বৈধ ২২৮, বরিশালে বাতিল হয়েছে ৩৮ জনের ও বৈধ ১৩৫, রংপুরে বাতিল হয়েছে ৬৯ ও বৈধ ২০৯ জনের  এবং ফদিপরে বাতিল হয়েছে ২৩ জনের মনোনয়ন পত্র ও বৈধ ৮০ জনের।    

[৪] দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ২৯ টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে ৩০০ আসনে ২৭১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন।  

[৫] সোমবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এই তথ্য জানান।

[৬] রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক বাতিল হওয়া বেশিরভাগই স্বতন্ত্র প্রার্থী। যে কোন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোটে অংশ গ্রহণ করা আসনের শতকরা একভাগ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনের প্রযোজন হয়। এই জটিলতাতেই বেশিরভাগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে । 

[৭] দ্বৈত নাগরিক হওয়ায় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পদক শাম্মী আহম্মেদ ও ঋণ খেলাপ ও তথ্যে গরমিলের অভিযোগে কক্সবাজার-১ আসনে নৌকার প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ, মুন্সিগঞ্জে বিকল্পধারার মাহি বি চৌধুরী ও নোয়াখালীতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুল মান্নান এবং সিলেটে গণফোরামের মোকাব্বির খাঁনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমেরও মনোনয়ন বাতিল করেছে রিটার্নিং অফিসার।  

[৮] তবে বাতিল হওয়া প্রার্থীরা মনোনয়ন ফিরে পেতে কমিশনে আপিল করতে পারবেন। এ লক্ষ্যে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি আলাদা আলাদা বুথ স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার উপ-সচিব আব্দুছ সালাম সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন।

[৯] নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার উপ সচিব মো. আব্দুছ সালাম জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণাদেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে) নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি আকারে (আপিলের মূল কাগজপত্র এক সেট ও ছায়ালিপি ৬ সেটসহ) আপিল দায়ের করতে পারবেন। 

[৯ ] ১০-১৫ ডিসেম্বর প্রার্থীদের আপিল নিষ্পত্তি করবে ইসি। ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে প্রার্থীদের। সম্পাদনা: ইকবাল খান